রিয়াজের শশুরের আত্মহত্যা – নায়ক রিয়াজের শ্বশুর পিস্তল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন। রিয়াজের শ্বশুরের নাম আবু মহসিন খান। ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আরও পড়ুন – Napa Medicine Details | নাপা ঔষধ এর আদ্যোপান্ত
অপরদিকে ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। আবু মহসিন খান ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।পরবর্তীতে রাত পৌনে দশটার দিকে তিনি তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করেন।
আরও পড়ুন – বাঙালি সেনাদের আরেকটি গৌরভ গাঁথা, নাফ যুদ্ধ, বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার
যে বাড়ির বারান্দায় গুলি চালানো হয়েছিল সেখানে একজন পুলিশ অফিসারের হাতে ধরা পরে যে তিনি নিজের শটগানটি নিজের দিকে নিয়ে যান।
লাইভে এসে মহসিন বলেন, আমি ঢাকায় থাকি, আমার বয়স ৫৬ বছর, এক সময় আমি খুব ভালো ব্যবসায়ী ছিলাম। আমি বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই এখন আমার কোনো ব্যবসা বা কিছু নেই।
আরও পড়ুন – লাইভ টিভি অ্যাপস জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সম্প্রতি
আজকে লাইভে আসার উদ্দেশ্য হল আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করা। এই অভিজ্ঞতা থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন, সতর্ক থাকুন। আমার খালা 30 তারিখে মারা যান। তার একটি ছেলে হলেও মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেশে ফেরেননি। এটা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে।
আমার আরেক খালা আজ মারা গেছেন। আমেরিকায় তার একটি ছেলেও ছিল। অবশ্য তার তিন ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। তিনজনই বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। তারা হয়তো দাফনের কাজ করছে। আমি বলবো, এই খালা খুব ভাগ্যবান।
আরও পড়ুন – আপনি যদি ক্যালোরি ট্র্যাক রাখতে পারেন, আপনি আরও ওজন কমাতে পারেন
আমার একটি ছেলে আছে, সে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে, আমি আমার বাড়িতে সম্পূর্ণ একা থাকি। খালা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি ভয়ে আছি। আমি যদি আমার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকি, আমার মনে হয় না এক সপ্তাহের মধ্যে কেউ জানবে।
আমরা সন্তান এবং পরিবারের জন্য সবকিছু করি। আপনি যদি একশ টাকা উপার্জন করেন, আপনি তার বিশ শতাংশ নিজের জন্য ব্যয় করেন না। আপনি যদি নিজের জন্য বিশ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেন তবে 80 শতাংশ অর্থ আপনার পরিবারের জন্য ব্যয় হয়।
গত করোনার শুরু থেকেই বাংলাদেশে আছি। যারা একা থাকে তারাই বলতে বা বুঝতে পারে একা থাকতে কেমন লাগে। যাদের জন্য আমি বেশি করছি, প্রত্যেকটা মানুষের কাছে প্রতারিত হয়েছি। কামরুজ্জামান বাবলু নামে আমার এক বন্ধু ছিল। যাকে খাইনি তাকে খাইয়ে দিলাম। আমার 23 থেকে 25 লাখ টাকা মেরেছে।
লাইভের এক পর্যায়ে তিনি শিশুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
তারপর লাইভের 17 মিনিট 15 সেকেন্ড পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। রিয়াজের শশুরের আত্মহত্যা করার পরও তিনি বেঁচে ছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই লাইভ।
বর্তমানে রিয়াজের শ্বশুর ফেসবুক লাইভে নিজের মাথায় গুলি করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। তবে আবু হোসেন খান কেন আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।