বর্তমান সময়ে নাপা ট্যাবলেট খুবই জনপ্রিয় একটি ওষুধ , দেশের প্রায় সবাই বিভিন্ন রোগে এই ওষুধটির ব্যবহার করে থাকে। আজ আমি এই অসুধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব , চলুন জেনে নেই আজ ওষুধটির সম্বন্ধে ,
নাপা ঔষুধটির মুল উপাদান হচ্ছে প্যারাসিটামল। যেটি মেডিকেলের ভাষায় এক প্রকার এনএসএইড (NSAID ) যা অনেক রকম কাজে ব্যাবহৃত হয় । এটি প্যারাসিটামল (অ্যাসিটামিনোফেন) এবং ক্যাফিনের সংমিশ্রণ। এটি মুলত ব্যাথাযুক্ত স্থানের কিটো এসিডকে প্রশোমন করে ব্যাথা উপসম করে, অপরদিকে এটি এবং আরেকটি উপাদান ক্যাফেইন রক্তে মিশে ধমনী ও শিরার মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচলের গতি বাড়িয়ে দেয়।
নাপা ট্যাবলেটের কাজ হল মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন,ইনফ্লুয়েঞ্জা,দাঁত ব্যথা, নিউরালজিয়া, জ্বর, কালা জ্বর ব্যথা, গলা ব্যথা, স্নায়ু প্রদাহজনিত ব্যথা, ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা, সর্দি , ফ্লু এবং বিভিন্ন ব্যাথায় বিভিন্ন ডোজে দিতে হয় । কখনও বা অন্য ঔষুধের সাথে মিলিয়ে দিতে হয় । তবে এটির মুল কাজ মোটামুটি দুইটা জ্বর এবং ব্যাথা ।
ডোজ
প্রাপ্তবয়স্ক ডোজ: প্রতি 4-6 ঘন্টা 1-2 ট্যাবলেট।
সর্বাধিক ডোজ: প্রতিদিন 8 টি ট্যাবলেট।
অপ্রাপ্তবয়স্ক ডোজ: 12 বছরের কম বয়সীদের জন্য বাঞ্ছনীয় নয়।
ওভারডোজ প্রভাব
প্রথম 24 ঘন্টাগুলিতে নাপা ঔষুধটির ওভারডোজের লক্ষণগুলি হ’ল বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা , ফ্যাকাসে ভাব ,লিভারে ক্ষতি , অ্যানোরেক্সিয়া এবং পেটে ব্যথা। আক্রান্ত হওয়ার 12 থেকে 40 ঘন্টা পরে লিভারের ক্ষয়ক্ষতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। গ্লুকোজ বিপাক এবং বিপাকীয় অ্যাসিডোসিসের অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।
ক্ষতিকর দিক
জানা গেছে, নাপা ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত হালকা হয়, রক্তের উপর সামান্য প্রভাব ফেলে ,অগ্ন্যাশয় প্রদাহ , ত্বকের ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া ঘটে মাঝে মধ্যে ।
সতর্কতা
নাপা ট্যাবলেট সতর্কতার সাথে দেওয়া উচিত । যেকোনো ওষুধ সেবন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।হেপাটিক বা রেনাল ব্যর্থতাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য হেপাটোটক্সিক ওষুধ সেবনকারী রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখা উচিৎ। এটি খাওয়ার আগে গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করে দীর্ঘক্ষণ ওষুধের ব্যবহার এড়ানো উচিত।ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই ওষুধের গায়ে লেখা পড়ে নিন। আপনি কি জানেন ,প্রতিটা ওষুধের প্যাকেটে এর তৈরির সকল উপকরণের নাম এবং পরিমাণ লেখা থাকে। তবে প্যারাসিটামল ও ডি-এল মেথিওনিন ধরনের ওষুধ এড়িয়ে চলুন।
সংরক্ষণ শর্তাবলী
একটি শীতল এবং শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন, হালকা এবং আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। সমস্ত ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।