শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

সব পুরুষের স্বপ্ন “মালিনা”

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • সময় কাল : শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৬৭৩ বার পড়া হয়েছে।
Spread the love

আমরা কথা বলবো সাল ২০০০ এ রিলিজ পাওয়া ইতালিয়ান মুভি মালিনা সম্পর্কে। on the surface ১৩ বছরের একজন বালক রেনেটো সম্পর্কে যার উপর মালিনা নামের সুন্দরী মহিলার কি প্রভাব পড়েছিল তা সম্পর্কে দেখানো হয়েছে এই মুভিতে। But this film is more than that… এই মুভিতে আমাদের সমাজের বেসিক ন্যাচার সম্পর্কে দেখানো হয়েছে। একজন একা মহিলার প্রতি আমাদের সমাজের মানুষের কেমন দৃষ্টি ভঙ্গি থাকে এমনকি তারা কেমন আচরণ করে সেটাও দেখানো হয়েছে।

মালিনা ইতালির একটি শহরে বসবাস করে যেখানে তার রুপের জন্য সে অনেক লোকপ্রিয় ছিল। ঐ শহরের সব পুরুষই শুধু মালিনার স্বপ্ন দেখত। ঐ মালিনাকে দেখার জন্য একদিন রেনেটো এবং তার বন্ধুরা অপেক্ষা করছিল ঠিক তখনই রেনেটো প্রথমবারের মতো দেখে মালিনাকে। তাকে দেখতেই রেনেটো মালিনাকে ভালবেসে ফেলে। যখন ইতালিতে যুদ্ধ চলছিলো তখন মালিনার স্বামীরও ডাক আসে মিলিটারি থেকে। আর ঐখান থেকেই মালিনার দুর্ভাগ্য শুরু হয়।

শহরের লোকজন মালিনা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়। যেমনঃ তার অন্য পুরুষদের সাথে সম্পর্ক আছে, আর এর কারন ছিল মালিনার রুপ। রেনেটো একজন বালক থাকে যে লাভ এবং লাস্ট এর মধ্যে পার্থক্য বুঝত না। মালিনার সম্পর্কে ঐ সব গুজব শুনে সে নিজেকে ঐ সব পুরুষের জায়গায় নিজেকে রেখে মালিনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখত। রেনেটোর মতে সে এখন আর বাচ্চা নেই তাই সে বড়দের মতো থাকতে চায়। যার কারনে তার বাবা তাকে অনেক বকাঝকা ও মারধোরও করে। রেনেটোর উপর মালিনার রুপের জাদু এতোটাই প্রখর ছিল যে সে মালিনাকে সব জায়গায় ফলো করতো।

রেনেটো মালিনার ঘরে উঁকিঝুঁকি করা থেকে শুরু করে পুরো দিন মালিনা কি করতো তার উপর রেনেটো স্পাই করতো যা মালিনা কোনভাবেই জানত না। রেনেটো দিন রাত শুধু মালিনারই স্বপ্ন দেখত এমনকি মালিনাকে কল্পনা করে নিজেকে খুশি করতো এই ভেবে যে মালিনা ওর সাথেই আছে। একদিন এই খবর আসে যে মালিনার স্বামী যুদ্ধে শহিদ হয়ে গিয়েছে, যা শোনার পর মালিনা একদমই ভেঙ্গে পরে। মালিনা নিজের বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। রেনেটো সেখানেও মালিনাকে ফলো করে।

শহরে এখন শুধু মালিনার কথাই হয় তাও এই টপিকে যে কার কার সাথে মালিনার সম্পর্ক আছে। রেনেটো এই সব কিছুর মধ্যে এতোটাই জড়িয়ে পরে যে তার কাছে মনে হয় মালিনাকে প্রোটেক্ট করাই তার একমাত্র কাজ। একদিন স্কুলে মালিনার বাবার কাছে একটা চিঠি আসে যেখানে লেখা থাকে, মালিনার শহরের সব পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে। এটা পরে মালিনার বাবা মালিনার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। এখন মালিনা একদম একা হয়ে যায়।

এক রাতে মালিনার ঘরে উঁকিঝুঁকি করতে গিয়ে রেনেটো জানতে পারে মালিনার সাথে একজন আর্মি অফিসারের সাথে সম্পর্ক আছে। যখন ঐ অফিসার ঘর থেকে বাইরে বের হয় তখন তার সাথে এক ডাক্তারের দেখা হয়, যে বলে মালিনা তার বাকদত্তা। এই কথায় ঐ দুজনের মধ্যে অনেক বড় ঝগড়া হয় যাতে পুলিশকেও ইনভলব হতে হয়। এর পরে শহরে এই কথা আগুনের মতো ছড়িয়ে পরে যে মালিনার সাথে এক বিবাহিত পুরুষের সম্পর্ক আছে। এই অপরাধে তার জেলও হতে পারে। এই ঘটনার পরে মালিনা লিগাল সমস্যার সম্মুখীন হয়। যার কারণে মালিনা এক লয়ার এর কাছে সাহায্যের জন্য যায়।

এই কেসে প্রমাণিত হওয়ার পর যে ডাক্তার মিথ্যা বলছিল, লয়ার মালিনার সরলতার সুযোগ নেবার চেষ্টা করে আর মালিনা কিছুই করতে পারে না। এই সব দেখে রেনেটো অনেক বেশি ডিপ্রেস হয়ে যায়। এই ঘটনার পর পুরো শহরে গুজব রটার কারণে মালিনা পুরোপুরি বদনাম হয়ে যায়। মালিনার বাবাও প্লেন বম্বিঙ্গে মারা যায়। এর পর মালিনার কাছে আর কোনো সাপোর্ট থাকে না। কেসের পর মালিনার স্বামীর পেনশন ও বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ মালিনার কাছে আর কোনো অর্থ অবশিষ্ট থাকে না। Now Malina has no other option but to become a prostitute.

এই সব দেখে রেনেটো এতটাই ভেঙ্গে পরে যে সে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। এই সব দেখে রেনেটোর বাবা বুঝে যায় যে রেনেটোর আসলে কি হয়েছে তাই সে রেনেটোকে একটা রেড লাইট এরিয়াতে নিয়ে যায়। মালিনা প্রস্টিটিউশন করে আর শহরের সব মহিলাদের স্বামী মালিনার কাছে যায়, যার ফলে শহরের সব মহিলারা মিলে মালিনাকে খুব খারাপ ভাবে মারধোর করে শহর থেকে বের করে দেয়।

কিছু দিন পর মালিনার স্বামী ঘরে ফিরে আসে। জানা যায় যে মালিনার স্বামী মারা যায় নি, সে বেচে ছিল। শহরের লোকজন তার সাথে কেউ কথা বলে না। যখন সে তার ঘরে যায় তখন সেখানে ইমিগ্রন্ট থাকে। যখন সে ওখানের অফিসারদের সাথে কথা বলে তখন সে জানতে পারে যে মালিনা প্রস্টিটিউট হয়ে গেছে। যখন এই কথা সে তার বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞেস করে তখন তারা তাকে এবং মালিনাকে অপমান করে। এই সব দেখে রেনেটোর অনেক খারাপ লাগে আর সে মালিনার স্বামীকে একটা চিঠি লেখে যেখানে এই কথা লেখা থাকে যে শহরের লোকজন মালিনার সম্পর্কে যা বলছে তার সবই মিথ্যা আর মালিনার সম্পর্কে সব কিছু বলে।

এখন মালিনার স্বামী মালিনাকে আবার শহরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এরপর মালিনার প্রতি লোকজনের দৃষ্টি ভঙ্গি একদমই পরিবর্তন হয়ে যায় কারন মালিনার স্বামী এখন মালিনার সাথে আছে। আর এখন সবাই মালিনাকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখে। In The End রেনেটো শেষবারের মতো মালিনাকে দেখে এবং তাকে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভ কামনা জানায়।

And the film ends and Reneto saying time has passed and I’ve love many women. They have ask me if I will remember then I said yes, but the only one I’ve never forgotten was Malena. এই রোমান্টিক ট্রাজেডি আমাদের সমাজের ঐ রূপ দেখায় যা আমরা ignore করে থাকি। কিভাবে সমাজের লোক একজন মহিলার সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে তার জীবনকে নষ্ট করে দেয়। Just because সে দেখতে অনেক সুন্দর তাই। কিভাবে তাকে সাহায্য না করে বাধ্য করে তাকে প্রস্টিটিউট হতে। আর কিভাবে এই fake সমাজ তার স্বামী ফিরে আশাতে তাকে শ্রোদ্ধা করে কথা বলে। Malena was the type of women that every man wanted and every women was jealous of her. আর তার সুন্দরয্য তার সব থেকে বড় ট্রাজেডি হয়ে দাঁড়ায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর

Advertisement

এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ ।
Design & Developed by Online Bangla News
themesba-lates1749691102