বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ বাংলাদেশে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য, আপনার বয়স কমপক্ষে 18 বছর এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (NIC) জন্য আবেদন করতে হবে, যেটি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হিসেবেও কাজ করবে। NIC পাওয়ার পর, আপনি ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করতে আপনার স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যেতে পারেন। একবার নিবন্ধিত হলে, বাংলাদেশের একজন নতুন ভোটার হিসাবে, রাজনৈতিক বিষয় এবং প্রার্থীদের সম্পর্কে অবগত থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি আপনার ভোট দেওয়ার সময় একটি শিক্ষিত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন। এই নতুন দায়িত্বের সাথে মহান শক্তি আসে এবং আপনার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করতে পারেন।
আরো পড়ুন – T Sports live cricket streaming – watch T Sports ipl live 2022
বাংলাদেশের নাগরিক গণ ২ ভাবে ভোটার হতে পারে।
১। ভোটার হালনাগাদ কারীর মাধ্যম ভোটার হওয়া।
২। বিভিন্ন কাগজ পত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে গিয়ে হালনাগাদ করানো ।
সাধারণ প্রত্যক পাঁচ বছর পর পর সরকারি ভাবে বিভিন্ন জেলা , উপজেলা , ইউনিয়ন , গ্রাম এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে । যাদের বয়স ১৭+ তাদের তথ্য হালনাগাদ করে । হালনাগাদকারি গ্ণ নতুন ভোটার কারী ব্যক্তিদের সকল তথ্য একটি নির্দিষ্ট ফরমে লিপিবদ্ধ করে । যার মাধ্যমে নতুন ভোটার কারী গ্ণ ভোটার হওয়ার অধিকার লাভ করে ।
ভোটার হালনাগাদ কারীগণ যখন নতুন ভোটার কারীদের তথ্য সংগ্রহ করে । তখন যদি কোন ব্যক্তি সমস্যা জিনিত কারণে , যেকোন তথ্য প্রদানে ব্যার্থ হয় তাহলে তারা নিদির্ষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য জেলা , উপজেলা বা পৌরসভা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসে গিয়ে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের হালনাগাদ করাতে পারবেন ।
ভোটার আইডি কার্ডের ভুলগুলো বিভিন্ন উপায়ে সংশোধন করা যায়। ভোটার আইডি কার্ড করার সময় বিভিন্ন ভুল তথ্য প্রদান বা কম্পিউটার আপারেটর এর বানান ভুল হওয়ার কারণে ভোটার আই কার্ড ভুল হয়ে থাকে ।
নিজের নামের বানান ভুল হলে । এন,আইডি সার্ভারে গিয়ে ভোটার আইডি সংশোধন এর জন্য এপ্লাই করতে হবে । এবং নির্ধারিত ফিস প্রদানের পর আপনার সঠিক বানানের প্রমাণ পত্র যেমন , জন্ম নিবন্ধন , সার্টিফিকেট , কাবিন নামা , পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি প্রমাণ সরূপ প্রদান করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে পারবেন ।
এন,আইডি সার্ভারে গিয়ে ভোটার আইডি সংশোধন এর জন্য এপ্লাই করতে হবে । এবং নির্ধারিত ফিস প্রদানের পর ভোটার আইডি কার্ডে নিজের জন্ম সাল ভুল হলে সঠিক জন্ম তারিখের প্রমাণ পত্র যেমন , জন্ম নিবন্ধন , সার্টিফিকেট , কাবিন নামা , পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি প্রমাণ সরূপ প্রদান করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ মাস ও সাল সংশোধন করতে পারবেন ।
এন,আইডি সার্ভারে গিয়ে ভোটার আইডি সংশোধন এর জন্য এপ্লাই করতে হবে । এবং নির্ধারিত ফিস প্রদানের পর ভোটার আইডি কার্ডে বাবা, মা বা স্বামীর নামের সঠিক প্রমাণ পত্র দিয়ে অনলাইন এপ্লাই করতে হবে ।
আরো পড়ুন – Rabbitholebd live cricket stream online – ipl 2022 live (সরাসরি খেলা দেখুন)
ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তনের জন্য জেলা , উপজেলা বা পৌরসভা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসে গিয়ে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের সকল প্রমানাদি প্রদান করে ছবি পরিবর্তন করতে পারবে ।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানাতে হবে । তাদের নির্ধারিত ফিস প্রদান পুর্বক আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনুলিপি কপি প্রদান করার তারিখ মেসেজ এর মাধ্যমে নির্বাচন অফিস জানিয়ে দেবে ।
কোন ভোটার তার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে যে সে এলাকায় স্থান্তান্তর হতে চাই সেই এলাকার চেয়্যারম্যান বা মেওর কতৃক প্রত্যয়ন পত্র । জমির দলিলাদি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। নির্বাচন অফিসের ১৩ নং ফরমের মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় ।
যদি পরিবারের ৫ সন্তানের আইডি কার্ডে পিতার বা মাতার নামে বানান ভিন্ন ভিন্ন থাকে ,সে ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন অফিসে গিয়ে উপযুক্ত দলিলাদি জমা দিয়ে সংশোধন করা যাবে।
একটি ভোটার আইডি কার্ডের একটি তথ্য শুধু মাত্র ১ বার পরিবর্তন করা যায় । যেমন পিতার নাম একবার পরিবর্তন করা যাবে। জন্ম সাল একবার পরিবর্তন করা যাবে। একই ভাবে প্রতিটি বিষয় এক বার করে পরিবর্তন করা যাবে।
হ্যা স্বাক্ষর পরিবর্তন করা যায় । মনে রাখবেন উপযুক্ত কাগজ পত্র দিয়ে আপনার স্বাক্ষর আপনি শুধু মাত্র একবার পরিবর্তন করতে পারবেন ।
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে , জাতীয় পরিচয় পত্র পুনরায় উত্তোলনের জন্য অনলাইনে জাতীয় পরচয় অনুলিপির জন্য এপ্লাই করতে হবে । এস এম এস এর মাধ্যমে নির্বাচন অফিস থেকে মেসেজের মাধ্যমে আপনার কার্ডের কপি নেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে ।
আপনি বিদেশে থেকেও ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে এপ্লাই করতে পারবেন । ]
বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রত্যকটি নাগরিকের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে ডিজিটাল Smart Card এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । যার মাধ্যমে তার সকল তথ্য সরকারি অফিসে ডাটা হিসেবে জমা আছে । দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষে Smart Card একটি বড় ভূমিকা পালন করে ।