বঙ্গবসাগরের কোলে একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমারটিন। যার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিবছর ছুটে যায় হাজার হাজার পর্যটক। পর্যটকদের অবাধ চলাফেরা, প্রবালদ্বীপ সেন্টমারটিনের অস্তিত্ব ও জীব বৈচিত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সেন্টমারটিন ভ্রমনে নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
দ্বীপটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক ও পর্যটকদের অসচেতনতা ও দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারনে সেন্টমারটিনের বিরল পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে । তবে এই বিধি নিষেধের সিদ্ধান্তে নাখোশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক ভাবে দেখছে পরিবেশবিদরা। বিধিনিষেধ গুলো সমন্বয় করে কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন তারা। জেলা প্রশাসক জানালেন সেন্টনারটিনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সকল নাগরিকদের বিধিনিষেধ মেনে সহযোগিতা করা উচিৎ। পর্যটনের ভরা মউশুমে ৫ মাস ধরে পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমারটিন। প্রতিদিন কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে ৭টি জাহাজে করে পাঁচ হাজারের মতো পর্যটক আসে এই দ্বীপে।
বিধি -নিষেধ সমূহঃ
১/ দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভ্যান সহ কোন প্রকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না।
২/ দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র ও নাফ নদিতে কোন প্রকার প্ল্যাস্টিক বা বর্জ্য ফেলা যাবে না।
৩/ পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব দিকের সৈকতে গালচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না।
৪/ জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথর দিয়ে হাটা যাবে না।
৫/ সৈকতে রাতের বেলা কোন প্রকার আগুন, আতশবাজি বা ফানুশ উড়ানো যাবে না।
৬/ সৈকতে মাইক বাজনো, হৈচৈ করা, গান-বাজনা বা বারবিকিউ পার্টি করা চলবে না।
৭/ ছেড়াদ্বীপে স্পীডবোড, কান্ট্রি বোর্ড, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত বা নোঙর করা যাবে না।