যদি আমরা পৃথিবীর দশ প্রকাশ বর্ষ আলোক বর্ষের সামনে একটি আয়না ফিট করি এবং পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে ঐ আয়নায় দেখি তবে ঐ আয়নায় যে ইমেজ দেখা যাবে তা আজ থেকে ২০ বছর পুরাতন ছবি হবে। তো আজকের এই ভিডিও অনেক মজাদার হতে চলেছে কারন দুনিয়ার সব থেকে ভয়ানক ঘরের পাশাপাশি আমরা এমন এক টাইম ট্রাভেলের কথা জানবো যা একটি সত্যি ঘটনা।
সাল ১৯৪৩-এ বিশ্ব যুদ্ধের সময় আমেরিকান বিজ্ঞানীরা গবেষণার সময় এমন একটা এক্সপেরিমেন্ট চালায় যা আজও রহস্য হয়ে রয়েছে। এই এক্সপেরিমেন্টে লিকোলা টেসলার জিরো টাইম ট্রান্সমিটারের ব্যবহার করা হয়েছিলো। আমেরিকার বিজ্ঞানীরা চেয়েছিলো এমন একটি এক্সপেরিমেন্ট করতে যার মাধ্যমে তারা যেন তাদের জাহাজ শত্রুদের সামনে থেকে অদৃশ্য করে ফেলতে পারে। ঐ এক্সপেরিমেন্ট সফলও হয়েছিলো অর্থাৎ জাহাজ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলো। কিছু লোক বলে গায়েব হবার পর ঐ জাহাজকে ভার্জিনিয়ায় দেখা গিয়েছিলো। আবার ২৪ ঘন্টা পর জাহাজ ফিলোডেলফিয়ার ডকইয়ার্ডে ফিরে আসে। যখন লোক ঐ জাহাজের কাছে পৌছায় তখন জাহাজের ভিতরকার অবস্থা মানুষকে ভয়ভীত করে দেয়। জাহাজে থাকা বেশিরভাগ মানুষ মরে পরেছিল। কিছু কিছু লোকের হাত-পা জাহাজের লোহার দেয়ালে আটকে ছিল। এছাড়াও জাহাজের যে সব লোক বেঁচে ছিল তারা পুরোপুরি পাগল হয়ে গিয়েছিল। মানা হয় এই জাহাজ গায়েব করার জন্য যে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিলো যার জন্য জাহাজটি টাইম ট্রাভেল করেছিল। কিন্তু ভুল হবার কারণে জাহাজের লোকেদের এই করুন পরিস্থিতি হয়েছিলো। শুধুমাত্র এই কারণে আমেরিকার সরকার এই এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এই সম্পর্কে কোনো তথ্য আর বাইরে আসে নি।
আমেরিকার এই ঘরকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘর মানা হয় কারন কেউ ঐ ঘরে ৬ ঘন্টার বেশি থাকতে পারে না। এই ঘরে প্রবেশ করা লোকেদের বিভিন্ন ভাবে টর্চার করা হয়, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কষ্ট দেয়া হয়। পশুর আক্রমণের মুখে ফেলে দেয়া হয়, ছোট কফিনের মধ্যে বন্ধ করে তাতে ইঁদুর ছেড়ে দেয়া হয়। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে এই ঘরে প্রবেশ করার জন্য মানুষের লাইন পরে যায়। টাকা দিয়ে মানুষ এই ঘরে প্রবেশ করে। এই পাগলামিতে ভরপুর জায়গাটির নাম হোলো “ম্যাকামি ম্যানার” এই ঘরে ক্ষতিকর সাপ, বিচ্ছু, মাকড়সা, ও অন্যান্য সব ভয়াবহ প্রানী মানুষের পিছনে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০০৮-এ এই ঘরে আসা এক ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হয়েছিলো। এবার ভাবুন তো নিজেদের কষ্ট দিতে টাকা দিয়ে মানুষ এই ঘরে যায়। আপনি যাবেন? আমি তো যাব না…
বৃষ্টির আনন্দ নিশ্চয়ই উপভোগ করেছেন, হয়তো দেখেছেন বৃষ্টি কখনও জোড়ে হয় আবার কখনও ধীরে হয়। আসলে বৃষ্টির পানির স্পীডের কখনও পরিবর্তন হয় না। আকাশ থেকে মাটিতে আসা পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার স্পীড একই থাকে যা ৩২ ফিট পার সেকেন্ড। যখন এই বিন্দুর মাত্রা বেশী হয় তখন পানি বেশী পরে আর আমাদের মনে হয় খুব বেশী স্পীডে বৃষ্টি হচ্ছে। আবার যখন বাতাসের সাথে যখন বৃষ্টি হয় তখন আমাদের কছে মনে হয় বৃষ্টি কম হচ্ছে কারন বাতাসের প্রভাবে বিন্দুর মাত্রা কমে যায়। এখন উপরে তো আর কোনো নল লাগানো নেই যে জোড়ে ঘুরালে বেশী পানি পরবে র কম ঘুরালে কম পানি পরবে। পানি একই স্পীডে আসে। বিন্দুর মাত্রার উপর নির্ভর করে কম বেশী হওয়া।
শিশনাগ ফুল সম্পর্কে কম বেশী আমরা সবাই জানি যা হিমালয়ের চটিতে পাওয়া যায় আর শত বছরে একবার ফোটে। কিন্তু এটা রিয়েলিটি নয়। এটি শুধুমাত্র একটা পোস্ট যা আপনাদের মস্তিস্কের সাথে খেলার জন্য করা হয়েছে। এই ফুলের আসল নাম “The Flower of Arisema Cobra Lily” এই ফুলকে “The Asian Jack in The Palped” বলে।
পোল্যান্ডের ক্রূভড ফরেস্টে একটা জায়গা আছে যেখানে ৪০০ এর বেশী গাছ ৯০ ডিগ্রি এংগেলে ঘুরে রয়েছে। যদি নতুন কোনো গাছ এখানে হয় তবে সেটাও ৯০ ডিগ্রি এংগেলে ঘুরে যায়।
আমরা অনেকেই স্যামসাং এর প্রোডাক্ট ব্যবহার করি ইলেক্ট্রনিক্সের অনেক প্রোডাক্ট স্যামসাং তৈরি করেছে কিন্তু আপনাদের মধ্যে কি কেউ এটা জানেন যে ইল্কট্রনিক্সের পাশাপাশি স্যামসাং এর কন্সট্রাক্সনের ও বিজনেস আছে। পৃথিবীর সবথেকে বড় ইমারত ব্রূস খলিফার নির্মাণও স্যামসাং করেছে।
দুনিয়াতে কিছু লোক কালো হয় আবার কীছূ লোক ফর্সা কিন্তু আপনারা কি জানেন পৃথিবীর সব থেকে কালো মহিলার নাম কি? তার নাম “নায়া কি মোরে” ইনি পৃথিবীর সব থেকে কালো স্কিন টোনের মহিলা।
আমরা সবাই জেব্রার কথা ভাবলেই আমাদের মাথায় আসে সাদার উপর কালো ডোরা কাটা দাগ বিশিষ্ট নিরীহ এই প্রাণীটি। কিন্তু আসল ব্যপারটা অন্য। জেব্রা কালো রঙের হয় এবং তার উপর সাদা রঙের ডোরা কাটা দাগ থাকে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই এটা মনে করতে পারেন এতে আমাদের কি এসেযায়।
কলা তো আপনারা খেয়েছেনই, এটা জিজ্ঞেসা করার মতো কোন কথা হোলোনা অবশ্যই খেয়েছেন কিন্তু আপনারা কি কলার বৈজ্ঞানিক নাম জানেন? কলার বৈজ্ঞানিক নাম হোলো “মূসা স্যাপেনটাম”। যার অর্থ হলো বুদ্ধিমান ব্যাক্তির ফল। কারন কারন কলা-ই একমাত্র ফল যার ডিএনএ মানুষের ডিএনএ এর সাথে ৫০ ভাগ ম্যাচ করে।
এখন কথা বলব তাজমহলের, দুনিয়ার সাত আজুবার মধ্যে একটি হলো তাজমহল। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই তাজমহল দাড়িয়ে আছে কাঠের উপর। এটি এমন একটি কাঠ যাকে মজবুত থাকার জন্য আদ্রতার প্রয়োজন হয় আর এই আদ্রতা সে পায় তাজমহলের নিচে থাকা পুল থেকে যেখানে যমুনা নদির পানি আসে। এবার ভাবুনতো ঐ সময় কারিগররা কতটা ইন্টেলিজেন্স ছিলো।
চায়নাকে কুংফু শিখিয়েছিলো ভারতীয় একজন ব্যক্তি যার নাম “বোধি ধারমান” তিনি যাদেরকে কুংফু শিখিয়েছেন তারাই পরবর্তীতে শাওলিনের ভিত্তি রাখে।
২০১১ তে পাকিস্তান একটি বাদরকে কয়েদ করেছিলো কারন বাদরটি ভারত থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করে ফেলেছিলো অর্থাৎ বর্ডার পার করেছিলো।
যদি কোনো মানুষের মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেয়া হয় তবুও সেটি ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত জীবিত থাকে অর্থাৎ ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত ঐ মাথা সব কিছু দেখতে পারে, শুনতেও পারে।
Bluetooth এর নাম রাখা হয়েছিলো ডেনমার্কের দ্বিতীয় রাজা “হ্যারল্যান্ড ব্লুটূটথ” এর নামে।