চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে কাজল অনেক দশক ধরেই এগিয়ে আছেন। পার্থক্য শুধু দৈনন্দিন পোশাকে এই উপকরণগুলির ব্যবহার।
যন্ত্রের কারণে বিভিন্ন চোখে একই চোখে দেখা যেতে পারে। স্মোকি, গ্রাফিক্যাল, গ্লিটার এক সময়ে একটি ট্রেন্ড। কিন্তু কাজল সবসময়ই চোখের মেকআপের কেন্দ্রবিন্দু হবে, আছে। উৎসবের সময় এর মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। অবগত, কাজল সব ধরনের পোশাকের সাথে একমত হবে। এস্তেটিসিয়ানের পরামর্শ, কাজল কেনার আগে এর মান নিশ্চিত করুন।কারণ, এই উপাদানের অবস্থান চোখের খুব কাছে। আপনার যদি কাজল প্রয়োগের নিয়ম মনে থাকে তবে শাস্তির জন্য কম সময় লাগে। চোখের মেকআপও ভালো হবে।
* এই সময়ে ওয়াটার প্রুফ কাজল ব্যবহার করুন। না পারলে লেপ্টে যাবে।
* চোখ ছোট হলে মোটা বা মোটা কাজল লাগাবেন না। এতে চোখ ছোট দেখাবে। ছোট চোখের জন্য, মোটা মাস্কারা দিয়ে নীচে মাস্কারা লাগান। চোখের উপরের অংশে আইলাইনার লাগানোর দরকার নেই।
* সবসময় কাজলকে ধারালো রাখুন। যখন শেষ মুহূর্তে সময় নেই, তখন অনেকে চাপ দিয়ে ঘষেন।ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
* ঘুমানোর আগে চোখের মেকআপ অপসারণ করতে হবে। কাজলকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখার ফলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। কারণ এতে কেমিক্যাল থাকে। চোখ পরিষ্কার করতে তুলার উপর নন-অ্যালকোহলিক আই মেকআপ রিমুভার লাগাতে হবে।
* কালো আইশ্যাডো কাজল দেওয়ার পর তার উপর লাগান।এতে করে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে ছড়ানোর ভয় থাকবে না।
* দিনের বেলায় আইলাইনার দিলে ভালো লাগবে না । দিনের সময়টুকু শুধুমাত্র কাজল এবং মাসকারাই চোখের জন্য যথেষ্ট।
* যাদের চোখ বড় তাদের চোখের নিচের অংশে কাজল লাগানো উচিত নয়।
* যদি আপনি কাজলকে চোখের নিচে মোটা এবং গা গাঢ় দেখাতে চান, কাজলকে একই রঙের শেডের সাথে ব্লেন্ড করুন।
* ইউরোপীয় পোশাকের সঙ্গে কাজল না পরলে ভালো লাগবে।
অনেক সময় হালকা চোখের মেকআপ টকটকে দাওয়ায় মানিয়ে নেওয়া যায়। আবার সকালে কেউ হয়তো একটু গাঁড়ো কাজল নিয়ে বের হতে পারে। বাকি মেকআপ চোখের মেকআপের সাথে মিলিয়ে নিতে হবে। নিজের জন্য পাক কাজল তার ভালো লাগাতুকুই কালো চোখ দিয়ে প্রকাশ করলেন।