আপনাকে যদি পৃথিবী থেকে ৯৮ কোটি কিলোমিটার দূরে রেখে আশা হয় কোনো স্পেস শিপ এ করে তাহলে কেমন হবে ? শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্য যে ২০৩৩ সালে প্রথম মানুষ হিসেবে একটি মেয়ে যাবে মঙ্গল গ্রহে , মেয়েটিকে কোনো পাঠানো হবে এবং মেয়েটির বিষয়ে অজানা তথ্য জানব এই ভিডিওতে। তো চলুন শুরু করা যাক :
মেয়েটির নাম আলিসা কারসন, ৭ বছর বয়সে তার বাবা তাকে নিয়ে গিয়েছিলো আলাবামার একটি স্পেস ক্যাম্প এ , সেই ক্যাম্প এর অভিজ্ঞতা তাকে এমনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিলো যে তার ভাবনার জগৎ অন্নান্য শিশুদের চাইতে আলাদা হয়ে যায়। আলিসার বয়স যখন ৯ বছর তখন তার সাথে দেখা হয় নাসার একজন মহিলা গবেষণাকারীর , নাম ছিল তার সান্দ্রা ম্যাগনাস । এই মহাকাশচারী তাকে জানিয়েছিল যে তিনি ছোট থেকে মহাকাশে যেতে স্বপ্ন দেখতেন, এই কথা তাকে মহাকাশের বেপারে তাকে আরো আগ্রহী করে তোলে , ১২ বছর বয়সী আলিসা সবচেয়ে কম বয়সী মহাকাশচারী হিসেবে নাসার ৩টি স্পেস ক্যাম্প এ অংশ নেয় , সেখানে নভোচারী হিসেবে সকল ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। তিনি অর্জন করেন বিশেষ মুহূর্তে জরুরি সিদ্ধান্ত নেবার দক্ষতা , রোবটিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পাশা পাশি তিনি নিজেও একটি রকেট বানিয়েছেন। যেহেতু তিনি মঙ্গল গ্রহে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কম তাই সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলছেন। প্রথমে একটি কুকুরকে স্পেস শিপ এর মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয় , তখন বিজ্ঞানীরা জানতো না কিভাবে কুকুরকে তারা ফিরিয়ে আনবে , ১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে লাইকা নাম একটি কুকুরকে পাঠানো হয় , তাই হয়তো লাইকার মতো হারিয়ে যেতে পারে আলিসা , তাকে একবার মঙ্গল গ্রহে পাঠানো হলে তাকে আবার কিভাবে পৃথিবীতে আনা হবে তার বাস্তব আইডিয়া নাসা র কাছে নেই , ২০৩৩ সালে প্রথম মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর অভিযান শুরু হবে তখন আলিসার বয়স হবে ৩২ বছর যা একজন নভোচারীর জন্য উপযুক্ত বয়স। আলিসা নিজেও জানেন তিনি হয়তো আর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না। ভাবতে অবাক লাগে মানুষের স্বপ্ন কত বড় হতে পারে।