ডাক্তারি পড়েছেন গুলিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠানে কিন্তু নেই কোন সনদ, কোন সেই প্রতিষ্ঠান নাম ও জানা নেই সেই ডাক্তারের, প্রশ্নের জবাবে তারও কোন স্বদত্তর মেলেনি। অথচ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেই নিজেকে তিনি পরিচয় দিয়েছেন মানুষের কাছে, করতেন ও তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েছে কথিত ডাক্তার মোঃ সেলিম মিয়া।
আজ সকালে মিরপুর ১ নং হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে তাকে আটকের পর দেয়া হয় ২ বৎসর কারাদণ্ড । হাসপাতালকেও করা হয়েছে জরিমানা মিরপুর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এখানেই দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখছিলেন কথিত ডাক্তার মোঃ সেলিম মিয়া।
বৃহস্পতিবারও যখন রোগী দেখছিলেন তখন এসে হাজির হন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতি টের পেয়েই পালানোর চেষ্টা করেন ভুয়া ডাক্তার তবে ধরা পরেন পুলিশের হাতে। ভুয়া ডাক্তার মোঃ সেলিম মিয়া বলেছেন ‘’ আমি জাস্ট মাঝে মাঝে এসে দুইএক জন রোগী দেখি ‘’
জানতে চাওয়া হয় তার ডাক্তারি পড়াশোনার সম্পর্কে কিভাবে হলেন তিনি মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ডাক্তার।
ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে সেই ভুয়া ডাক্তার উত্তর দেয় ‘’ আমি ডাক্তারি সার্টিফিকেট কোর্স করেছি, বাংলাদেশের গুলিস্থান থেকে করেছি এই কোর্স ‘’ কিভাবে ডাক্তার না হয়েও হাসপাতালের চেম্বারে রোগী দেখছেন সে বিষয়ে মিরপুর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মেজর (অবঃ) হারুন আল রশিদ নিরুত্তর তবে দাবি করেন তার অজান্তেই হাসপাতালের কোন অসাধু কর্তা ব্যক্তির সহয়তায় এই ভুয়া ডাক্তার এখানে রোগী দেখছিলেন তবে কোন অপারেশন করেনি।
ডিএমপির এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রফিকুল হক জানান, ‘’তিনি আরও বেশ কয়েক জায়গায় রোগী দেখেন, তিনি প্রতারণার মাধ্যমে এই অপচিকিৎসা দিচ্ছেন, সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য, অর্থ, এমনকি জীবনহানির আশংকা তৈরি করছেন । এজন্য তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি । আমরা তাকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ২ বছর জেল দিয়েছি এবং যে হাসপাতাল ও তার কর্তৃপক্ষ এই ভুয়া ডাক্তারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেওয়ার নামে এই অপচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এই অবহেলা জনিত যে কার্য সেই কারনে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০০০০ টাকা জরিমানা করেছি ‘’।