প্রতিবছর শেরেবাংলা নগর মাঠে মেলা হলেও মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা এলাকায় যানজট ও লোকসমাগম অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় এই বছর থেকে মূল নগরীর একটু দূরে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে।
এবারই প্রথম এক ছাদের নিচের আয়োজিত হয়েছে বাণিজ্য মেলা। আগের প্লটের তুলনায় এবারের প্লট অনেক ছোট হওয়ায় স্টল এবং প্যাভিলিয়নের সংখ্যা অনেক কম।
আমরা ঢাকা থেকে মোটর সাইকেলে রওয়ানা দিয়েছি। পূর্বাচল ৩০০ ফিটের রাস্তাটির অবস্থা বর্তমানে আগের থেকে অনেক ভালো। তাই অল্প সময়েই মেলা এরিয়ায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। মেলা উপলক্ষ্যে কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত এই ১৫ কিলোমিটার রুটে ৩০ টি বিআরটিসি বাস সংযুক্ত করা হয়েছে। ৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ নেমে সেখান থেকে মাত্র ১০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাংগনে যাওয়া যায়।
মেলা চলছে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০ টা পর্যন্ত।
আমরা মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছেই মোটর সাইকেল পার্কিং করলাম। ২০ টাকা পার্কিং চার্জ বিকাশে পেমেন্ট করলে ২০% অর্থাৎ ৪ টাকা ক্যাশব্যাক পেলাম। এছাড়াও এন্ট্রি টিকেট বিকাশের মাধ্যমে ২ টি ৮০ টাকায় কিনেই ৪০ টাকা ক্যাশব্যাক পেলাম। এই ৫০% ক্যাশব্যাক এক একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ২ টি টিকেটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও মেলার কেনাকাটায় ৫% ক্যাশব্যাক সহ প্রচুর ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে।
কিন্তু ভেতরে ভিন্ন চিত্র। আগের মেলাগুলোতে প্রায় সব স্টলেই বিকাশের কিউ আর কোড সহ কার্ড টাঙ্গানো থাকলেও এবার তা নেই বললেই চলে। অধিকাংশ স্টলেই বিকাশ পেমেন্ট এক্সেপ্ট করা হচ্ছে না। সীমিত কিছু স্টলে বিকাশ পেমেন্ট করতে চাইলে তারা ভেতর থেকে কিউআর কোড সহ কার্ড বের করে দিচ্ছেন, কিন্তু বাইরে ভিজিবল জায়গায় রাখছেন না। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সম্ভবত সেল তূলনামূলক কম হওয়ায় বিক্রেতাদের বিকাশের পরিবর্তে ক্যাশে সেল করার ব্যাপারে বেশী আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
মেলায় কাপড়চোপড় ও প্রসাধনী সামগ্রীর ভালো কালেকশন দেখা যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই ছোটবড় ডিসকাউন্ট অফার দিয়ে ক্রেতা টানার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডগুলোরও রয়েছে সরব উপস্থিতি।
মেলা এক ছাদের নিচে হলেও বাইরে রয়েছে বিস্তৃত খোলা জায়গা এবং সেখানে অল্প কিছু প্যাভিলিয়ন।
কোন কোন স্টল বা প্যাভিলিয়নে কারাওকে মিউজিক, গেমস ইত্যাদির ছোট ছোট আয়োজন করে দর্শনার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।