চীন সফলভাবে তার তথাকথিত “কৃত্রিম সূর্য”, একটি পারমাণবিক ফিউশন চুল্লী সক্রিয় করেছে ।যদি তারা এটিকে আরও টেকসই করতে পারে তাহলে এটি তাদের জ্বালানির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আগত বছরগুলিতে জ্বালিয়ে তুলতে পারে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া রিপোর্টে, শুক্রবার চীনের পারমাণবিক শক্তি কর্তৃপক্ষ তার এইচএল -২ এম টোকামাক নামক এই চুল্লিটি চীনের তৈরি পারমাণবিক ফিউশন চুল্লী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকাশের বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার মধ্যে সংক্ষিপ্ত এই পরীক্ষাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক কৃতিত্ব হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত পিপলস ডেইলি বলেছে, “পারমাণবিক সংশ্লেষ শক্তির বিকাশ কেবল চীনের কৌশলগত শক্তির চাহিদা সমাধানের উপায় নয়, ভবিষ্যতে চীনের জ্বালানি এবং জাতীয় অর্থনীতির টেকসই বিকাশের জন্যও এটির ভূমিকা রয়েছে,”
চুল্লী গরম প্লাজমার একটি লুপে শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র প্রয়োগ করে শক্তি উৎপন্ন করে যার তাপমাত্রা ১৫০ মিলিয়ন ডিগ্রী সেলসিয়াসের-এর বেশি পৌঁছাতে পারে যা সূর্যের মূলের চেয়ে ১০ গুণ বেশি উষ্ণ থাকে, তবে চুম্বক এবং সুপারকুলিং প্রযুক্তি এটি ধারণ করে রাখে।
অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন করার কারনে এটিকে কৃত্রিম সূর্য বলা হয়। ইন্টারন্যাশনাল থারমো নিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল ডিএক্টরের কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে এই চুল্লী তৈরি করার কাজ শেষ হতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে দ্যা ওয়ে তু দ্যা নিউ এনার্জি তৈরি করার পিছনে টোটাল ব্যায় হচ্ছে ২২.৫ বিলিয়ন ডলার।