আবারও ঘটল সেই নেককার জনক ঘটনা। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে স্থানীয় এক নারীকে (৩২) ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সন্তানদের সামনে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার, এবং ভিডিও চিত্র ধারনের অভিযোগ উঠেছে। পহেলা জানুয়ারি নোয়াখালীর চানন্দী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। তবে এ ঘটনার কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ঐ নারি জেলার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২-এ একটি মামলা দায়ের করে। বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। মামলার এজাহারে ঐ নারি উল্লেখ করে ১ জানুয়ারি তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুখ এনায়েত, ভুটু মাঝি ও ফারুখ বাহিনী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বিবস্ত্র করে অমানবিক অত্যাচার করে। তিনি ও তার ছেলে মেয়ের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে দু দিন চিকিৎসা নেবার পর আদালতে মামলা দায়ের করেন ঐ নারী। মামলার এজাহারে ঐ নারী জানান ৪ জানুয়ারি তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয় নি। এ ব্যপারে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাবার পর শনিবার তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যান। দুই-তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।