সূরা আন নাস কুরআনের 114 তম এবং শেষ অধ্যায়। এটি “সূরা আল-মুয়াওয়াদাতাইন” নামেও পরিচিত, যার অর্থ দুটি অধ্যায় যা আশ্রয় প্রদান করে। অধ্যায়টি মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক কারণ এটি শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলে। সূরাটি কুরআনের আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদ এবং তাঁর সুরক্ষা অর্জনের কথা বলে।
নিয়মিত সূরা নাস তেলাওয়াত মন্দ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, আল্লাহর সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করে এবং হৃদয় ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। হাদিস অনুসারে, নবী মুহাম্মদ ঘুমানোর আগে এই সূরাটি পাঠ করতেন এবং তিনি তাঁর অনুসারীদেরও এটি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সূরা ফালাক ও আয়াতুল কুরসির পাশাপাশি সূরা নাস পড়ার ফজিলত অসংখ্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তাই, প্রতিদিনের নামাজে এবং আল্লাহর নিরাপত্তা চাওয়ার মাধ্যম হিসেবে সূরা নাস পাঠ করা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ
مَلِكِ ٱلنَّاسِ
إِلَٰهِ ٱلنَّاسِ
مِن شَرِّ ٱلْوَسْوَاسِ ٱلْخَنَّاسِ
ٱلَّذِى يُوَسْوِسُ فِى صُدُورِ ٱلنَّاسِ
مِنَ ٱلْجِنَّةِ وَٱلنَّاسِ
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ,
মালিকিন্না-ছ,
ইলা-হিন্না-ছ।
মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-।
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
মানুষের অধিপতির,
মানুষের মা’বুদের
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
আরো পড়ুন-