শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

সালাম | ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও ফযিলত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • সময় কাল : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৮৭১ বার পড়া হয়েছে।
সালাম | ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও ফযিলত
Spread the love

ইসলামে, সালাম একটি শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক সমাজ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সালাম শুধুমাত্র শুভেচ্ছা বিনিময় নয় বরং শুভেচ্ছা ও শান্তির আকাঙ্ক্ষার প্রকাশকে বোঝায়। এটি অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে এবং ইসলামী শিক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসাবে বিবেচিত হয়। নবী মুহাম্মদ একবার বলেছিলেন যে “ধার্মিকতার প্রথম কাজ হল সা’লাম দিয়ে লোকেদের অভিবাদন করা।” সালাম শুধু মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম নয়, আল্লাহর প্রতিও। এটা বিশ্বাস করা হয় যে আল্লাহ নিজেই সা’লাম শুরু করেন।

তদুপরি, কাউকে সালাম দিয়ে অভিবাদন জানানোর কাজটি ব্যক্তির জন্য ভাল কাজ এবং বরকত তৈরি করে। নবী মুহাম্মদ অন্যদেরকে প্রথমে সালামের সাথে অভিবাদন জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সালামের জবাব দেওয়াও একটি পুণ্য বলে বিবেচিত হয়। উপরন্তু, শিশু এবং অপরিচিতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করাও উল্লেখযোগ্য গুণাবলী বহন করে। তাই একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝা অত্যন্ত জরুরী।

সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যখন দুজন মুসলমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সালামের মাধ্যমে পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার থেকেও বেঁচে থাকা যায়।

প্রথম সালামের প্রচলন: আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম আদম আলাইহিস সালামকে সালাম দেয়ার শিক্ষা দেন। হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার পর ফেরেশতাদের সা’লাম দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি ফেরেশতাদের সা’লাম দিলে তারাও সালামের উত্তর দেন।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন আদম আ. কে সৃষ্টি করলেন তখন তাকে বললেন, তুমি যাও এবং ঐ যে ফেরেশতামণ্ডলীর একটি দল বসে আছে, তাদের উপর সালাম পেশ কর। আর তারা তোমার সালামের কী জবাব দেয় তা মনোযোগ সহকারে শ্রাবন করো। কেননা, ওটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্তুতির সালাম বিনিময়ের রীতি।’ সুতরাং তিনি (তাঁদের কাছে গিয়ে) বললেন, ‘আসসালামু আলাকুম’। তাঁরা উত্তরে বললেন, ‘আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ’। অতএব তাঁরা ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ শব্দটা বেশি বললেন।’ (রিয়াদুস সালেহিন)

আরো পড়ুন

সূরা আন নাস

রমজানে  কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত

দরুদ শরীফ

ইফতারের দোয়া

আল্লাহর ৯৯ নাম

আলহামদুলিল্লাহ পড়ার ফজিলত

আজান এর ইতিহাস ও  গুরুত্ব

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর

Advertisement

এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ ।
Design & Developed by Online Bangla News
themesba-lates1749691102