আয়াতুল কুরসি কুরআনের একটি সুপরিচিত আয়াত এবং ইসলামী বিশ্বাসে এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি কুরআনের সবচেয়ে শক্তিশালী আয়াতগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়, এটি তেলাওয়াতের জন্য প্রচুর গুণাবলী এবং সুবিধা রয়েছে।
ইসলামী শিক্ষা অনুসারে, আয়াতুল কুরসি হল শয়তানের অনিষ্ট এবং ক্ষতির অন্যান্য উৎস থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি মাধ্যম। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই আয়াতটি তেলাওয়াত করা সারা রাত রক্ষা করার জন্য বলা হয়, এবং এটি অজু করার পরেও পাঠ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আয়াতুল কুরসি পাঠের সওয়াবও বহুগুণ। বলা হয় যে এই আয়াতটি পাঠ করলে তাদের গুনাহ মাফ করা হবে এবং তাদের মৃত্যু হলে তারা জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করবে। এছাড়াও, এটি বিশ্বাস করা হয় যে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা ব্যক্তির জীবনে প্রচুর বরকত নিয়ে আসে, যার মধ্যে রয়েছে সম্পদ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং সমস্ত ধরণের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা। অতএব, আয়াতুল কুরসি একটি পবিত্র এবং শক্তিশালী আয়াত যা ইসলামী বিশ্বাসে অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে।
বাংলা উচ্চরণ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া ,আল হাইয়্যুল কাইয়্যুম,লা তা খুযুহু সিনাতুও ওয়ালা নাওম ,লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি, মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী ,ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহীম ওয়ামা খলফাহুম ,ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শাহায়া ,ওয়াসি আ কুরসিয়্যুহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদা,ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম।
বাংলা অনুবাদ
আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।
আরো পড়ুন-