সূরা কদর পবিত্র কুরআনের নিরানব্বইতম সূরা। এটিকে শক্তির রাত বা ডিক্রির রাত হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। এই সূরাটিকে কুরআনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সূরাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি রমজানের বরকতময় রাতের গুরুত্ব এবং ফজিলত তুলে ধরে। সূরাটি নির্দেশ করে যে এই রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম, কারণ এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অগণিত নিয়ামত ও পুরস্কারে পরিপূর্ণ।
যে ব্যক্তি এই রাতে আন্তরিকতা, আশা এবং বিশ্বাসের সাথে প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাদের প্রচুর পুরস্কার দান করেন। তাই সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই রাতে প্রার্থনা করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করে। ফলস্বরূপ, সূরা কদর মুসলমানদের এই রাতের তাৎপর্য চিনতে সাহায্য করে এবং তাদের রমজানে আল্লাহর রহমত, ক্ষমা এবং আশীর্বাদ পেতে উত্সাহিত করে।
১- إِنَّآ أَنزَلْنَٰهُ فِى لَيْلَةِ ٱلْقَدْرِ
২- وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ
৩- لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
৪- تَنَزَّلُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
৫- سَلَٰمٌ هِىَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ ٱلْفَجْرِ
১- ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
২- ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।
৩- লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
৪- তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
৫- ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।
১- আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
২- শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
৩- শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
৪- এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
৫- এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
আরো পড়ুন-