ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক। যাইহোক, এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন উপায়ে ধীর হতে পারে। ভারতে ব্লসম কোচার গ্রুপ অফ কোম্পানির ডিরেক্টর ব্লসম কোচার বিশ্বাস করেন যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিরবচ্ছিন্ন ঘুম, সঠিক সাজসজ্জা ইত্যাদির মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রাখা যায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কসমেটোলজিস্ট ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
ত্বকে বয়সের ছাপ
সানস্ক্রিন: বয়সের দাগ কমাতে সানস্ক্রিন সবচেয়ে ভালো কাজ করে।সূর্যের আলো ত্বকের দাগ, পিগমেন্টেশন এবং এমনকি বলিরেখা দেখা দিতে ভূমিকা পালন করে। সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য, রোদে বা মেঘলা দিনে বাড়িতে থাকলেও অন্ততপক্ষে এসপিএফ 30 সহ সানব্লক ব্যবহার করা প্রয়োজন। সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পাশাপাশি ফুল হাতা পরা, সানগ্লাস পরা এবং টুপি পরা শরীরকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করে।
ঘুম: ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীর পুনর্গঠিত হয়। এ সময় শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, দাগ হালকা হয় এবং বলিরেখা কমে যায়। আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম দরকার। অনিয়মিত ঘুম জীবনধারাকে প্রভাবিত করে। ফলে বয়সের ছাপ বাড়ে।
ঘুম
স্বাস্থ্যকর খাবার: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং অকাল বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে।প্রচুর শাকসবজি, ফল, ভেষজ, গোলমরিচ, ব্রকলি, গাজর ইত্যাদি খাওয়া ব্রণ এবং অন্যান্য বয়সের ছাপ কমাতে উপকারী। এছাড়াও, ডায়েটে ডালিম, বেরি এবং অলিভ অয়েলের মতো বিভিন্ন ধরনের ফল যোগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার
ময়েশ্চারাইজার: ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়। যা ত্বককে রাখে আর্দ্র ও সতেজ। বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে।ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং বয়সের ছাপ কমায়। এটি সূর্যালোক থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার
ত্বকের যত্নের প্রসাধনী: ত্বকের যত্নে প্রসাধনী কেনার সময় বয়সের ছাপ কমায় এমন প্রসাধনী বেছে নেওয়া প্রয়োজন। তাজা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করলে ত্বকে ‘অক্সিজেন অণু’ বাড়ে এবং রোদের কারণে ত্বকের ক্ষতি কম হয়।এই দুটি উপাদান ব্রণ কমানোর পাশাপাশি ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নের প্রসাধনী